আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সমুদ্রসৈকতে অতিরিক্ত বিল আদায় করাই হোটেল,রেস্টুরেন্টকে জরিমানা।

অতিরিক্ত মূল্যের আদায়ের দায়ে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলোকে জরিমানা করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন পর্যটকরা। সিন্ডিকেট বাণিজ্যের হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তারা।

বিজয় দিবসসহ টানা ৩ দিন ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এসে বাড়তি হোটেল ভাড়া ও খাবার দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন অনেক পর্যটক। কয়েকদিনের বাজেট নিয়ে সৈকত নগরী এলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজেট শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়ির পথ ধরেছেন বেশিরভাগ পর্যটক। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে সমুদ্রসৈকত।

এদিকে অতিরিক্ত রুম ভাড়া রাখার অভিযোগে কয়েকটি হোটেলকে জরিমানা করে জেলা প্রশাসন। 

কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সী-পার্ল ১ ও ২ হোটেল থেকে ২ জন পর্যটকদের টাকা হোটেলের কাছ থেকে ফেরত দেয়া হয় এবং ২টি হোটেলকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার জন্য জরিমানা করা হয়। এসময় সী পার্ল ১ ও ২ কে ৫ হাজার এবং হোটেল ওপেলাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ জানান, পর্যটকদের কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে জেলা প্রশাসনের তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রে জানানোর জন্য মাইকিং করা হয়। জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

জেলা প্রশাসনের তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দিনাজপুর থেকে সপরিবারে আসা পর্যটক রেজাউল মিঞা বলেন, ‘বেশ কয়েকবার কক্সবাজারে আসলেও এবার এসে হোটেল-রেস্টুরেন্টের দাম নিয়ে রীতিমতো অবাক হলাম। দ্বিগুণ দাম দিয়ে হোটেল বুকিং নেয়াটা দুঃখজনক ব্যাপার ছিল। তারপরও পরিবারের আবদার মেটাতে বেশি দামে রুম নিতে হলো। শুনেছি প্রশাসন কিছু কিছু হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা যদি হয় তাহলে বলতে পারি প্রশাসন অবশ্যই ভালো কাজ করেছে।

মতিঝিলের বেসরকারি চাকরিজীবী মুমিন খন্দকার বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে হোটেলের রুম পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমে দাম অতিরিক্ত বলেছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে পাশের হোটেলে প্রশাসনের অভিযান চলছে শুনে তারা দাবিকৃত দামের চেয়ে কমিয়ে রাখলেন। এতে আমার জন্য ভালো হলো। প্রশাসনের এমন উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, আগত পর্যটকদের হয়রানি করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর